১৮ মে ২০২৪, ১২:১৬ অপরাহ্ন, ৯ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, শনিবার, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
আগৈলঝাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত জীবননগরে সড়ক দুর্ঘটনায় হাতপাখা বিক্রেতার মৃত্যু মেয়েরা চাকরি শুরু করার পর থেকেই ডিভোর্সের সংখ্যা বেড়েছে চুয়াডাঙ্গায় ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’নীতি বাস্তবায়নে পেট্রোল পাম্প মালিকদের সাথে পুলিশের মতবিনিময় চুয়াডাঙ্গার জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ১৫দিন ধরে অনুপস্থিত,মেলেনি নোটিশের জবাব বাবুগঞ্জে ইউপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের ১৫ টি ল্যাপটপ চুরি তিন লাখ রেনু পোনা জব্দ, ৯ জেলে আটক বরিশালের হিজলা ও মুলাদীতে। চুয়াডাঙ্গায় আম সংগ্রহের উদ্বোধন বিদেশ ফেরত আগৈলঝাড়ার দুই যুবকের স্বপ্ন দেখাচ্ছে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন কর্মসূচি চাঁদা’ হিসেবে লুঙ্গি দাবি, ওসিকে বদলি!
স্ত্রীকে পতিতালয়ে বিক্রির মামলায় স্বামীর সাত বছর কারাদণ্ড। আজকের ক্রাইম-নিউজ,

স্ত্রীকে পতিতালয়ে বিক্রির মামলায় স্বামীর সাত বছর কারাদণ্ড। আজকের ক্রাইম-নিউজ,

আজকের ক্রাইম ডেক্স:: বরিশালে স্ত্রীকে পতিতালয়ে বিক্রির মামলায় স্বামী ফরিদ উদ্দিন মল্লিককে সাত বছর কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকালে বরিশাল মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মঞ্জুরুল হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে ক্ষতিগ্রস্ত নারীকে দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য দণ্ডপ্রাপ্ত ফরিদউদ্দিনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আসামি গ্রেফতার বা আত্মসমর্পণের ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালের মধ্যেমে এই অর্থ পরিশোধ করতে হবে। নতুবা আসামির সম্পদ বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্ত নারীকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

রায় ঘোষনার সময় আসামি অনুপস্থিত থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি এবং সাজা পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

দণ্ডপ্রাপ্ত ফরিদ উদ্দিন উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের তারাবাড়ি এলাকার মৃত জয়নাল মল্লিকের ছেলে। তিনি স্ত্রী ফারজানা আক্তারকে নিয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলার উত্তর রহমতপুর এলাকায় শ্বশুর বাড়ির পাশে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৬ অক্টোবর শ্বশুর–শাশুড়ি বাড়িতে না থাকার সুযোগে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় যায় ফরিদ। পরদিন ফারজানাকে খুলনা নিয়ে পতিতালয়ের মিন্টু সর্দারের কাছে বিক্রি করে দেয়। ২০ দিন পর ফরিদ ফের ওই পতিতালয়ে গিয়ে অবস্থান করতে থাকে। ফারজানার কাছ থেকে নিয়মিত অর্থও আদায় করতো ফরিদ। কিছুদিন পর মিন্টু সর্দার ফারজানাকে ওই পতিতালয়ের আরেক সর্দারনি হোসনে আরার কাছে বিক্রি করে দেয়। এক পর্যায়ে ফারজানাকে নিয়ে মিন্টু সর্দার ও হোসনে আরার মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। প্রায় ২ মাস পর ১০ ডিসেম্বর খবর পেয়ে ফারজানার বাবা ও শ্বশুর খুলনার ফুলতলা থানা পুলিশের সহায়তায় ওই পতিতালয়ে গিয়ে ফারজানাকে উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ সর্দার মিন্টু ও সর্দারনি হোসনে আরাকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় ১২ ডিসেম্বর ফারজানার বাবা আবুল কালাম বাদী হয়ে অভিযুক্ত ফরিদ উদ্দিন এবং পতিতালয়ের দুই সর্দার মিন্টু ও হোসনে আরাকে আসামি করে বাবুগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

পরে পতিতালয়ের দুই সর্দারকে অব্যাহতি দিয়ে ফরিদ উদ্দিনকে একমাত্র অভিযুক্ত করে ২০০৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় তদন্ত কর্মকর্তা। ট্রাইব্যুনালে পাঁচ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক ওই আদেশ দেন। গত ২২ মার্চ বরিশালে মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরুর পর এটি ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায়।”

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019